Posts

অ্যানাঈস নিন : মলয় রায়চৌধুরী

  সন্মোহিনী, কামুক, দ্রোহী লেখিকা আনাঈস নিন : মলয় রায়চৌধুরী অ্যানাঈস নিনের আসল, সেন্সরবিহীন ডায়েরির মতো  সূক্ষ্ম, অন্তর্দৃষ্টি এবং বেদনাসহ খুব কম লেখাই একজন নারীর বহুগামী মাংসল যৌনতা ও প্রেমের জীবনকে এমন খোলাখুলিভাবে মেলে ধরেছে । অসাধারণ জীবনের যাবতীয় তথ্য,  সম্পর্কের শারীরিক দিকগুলির সাথে  মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের সম্পূর্ণ বর্ণালীর ছটাকে স্পষ্টভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।এমনই  এক যুবতী যিনি তাঁর যৌন এবং মানসিক আকাঙ্ক্ষাপূর্তির জন্য সামাজিক বিধিনিষেধ, অপরাধবোধ ও অনৈতিকতার তকমা বিসর্জন দিয়ে নিজেই নিজেকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন আর লিখে গেছেন, যা সাধারণত পুরুষরাও লিখতে ইতস্তত  করে। নিন ছিলেন অপার্থিবভাবে নারীসুলভ, সূক্ষ্মতা, টেক্সচার এবং আবেগে আনন্দিত। নারীর অসারতা বা দুর্বলতা হিসেবে অনুভূতিগুলোকে চাপা দেননি। তাঁর আত্ম-জ্ঞান ছিল তাঁর কাছে একটি সম্পদ । তিনি নারীর অভ্যন্তরীণ বিশ্বের বর্ণনা করার জন্য অব্যর্থ শব্দাবলী খুঁজে পেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "একজন মহিলার পুরুষের মতো আনন্দ পাওয়ার অধিকার রয়েছে!" . তার ডায়েরি শিখিয়েছে যে জীবনের গুণমান বাড়িয়ে তোলার জন্য সৌন্দর্যের ছো...

হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

Image
  হাংরি আন্দোলন : শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ধীমান চক্রবর্তী এবং মুর্শিদ এ এম প্র: আপনার কাছে কোনো চিঠি আছে মলয়ের বা সমীরের ? উ: না, না, আমি তো লিখিনি। যখন এসেছে, দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু চিঠি লিখিনি । তবে হাংরি জেনারেশন করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । আইওয়া থেকে ফিরে এসে সুনীল হাংরি জেনারেশনের সপক্ষে সাক্ষী দেয়। সেই সাক্ষীর জোরে, বুদ্ধদেব বসুর জোরেই ওরা মুক্তি পায় । পি.কে.সেন পুলিশ কমিশনার, আমাদের যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। উৎপলকুমার বসুকে ডেকে পাঠান । বলেন, তোমরা এ সমস্ত অন্যায় কাজ করছ । এ সমস্ত কাজ করতে দেয়া হবে না । ওকে বলে যে, তুমি লেখো, আমি আর এ সমস্ত কাজ করব না । যদ্দুর মনে হয় শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর উৎপল দুজনেই লিখে দিয়েছিল আমরা এসব করব না ।  প্র: শক্তি তো বিপক্ষে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন— উ: হ্যাঁ– প্র: আরও একটা ব্যাপার আছে। সুনীলবাবু যে আইওয়া থেকে চিঠি লিখেছিলেন মলয়কে যে —তোমরা এই আন্দোলন-টান্দোলন করো, কাছে থাকলে একটা থাপ্পড় দিতাম । আবার সেই সুনীলই মলয়ের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছেন — এটা কীরকম ব্যাপার ? উ: সুনীলের এটা দ্বিচারিতা…. প্র: হাংরি আন্দোলন ১৯৬৫ স...

গল্প : আওয়ার লেডি অফ দি জিজুয়া

Image
  স্কুলে ভর্তি হইয়াছিলাম অত্যন্ত অল্প বয়সে, জনৈক পাদ্রির বদান্যতায়, তাঁহার নাম ফাদার হিলম্যান, সম্পূর্ণ নাম জানা হয় নাই, কী করিয়াই বা জিজ্ঞাসা করিব যে, ফাদার আপনার নাম কি । তিনি জার্মানি হইতে ভারতে আসিয়াছিলেন, তাহা তিনি আমার পিতৃদেবকে একদা বলিয়াছিলেন, এবং ভারতের বৈচিত্র্য ও বৈভিন্ন্যের বহুমাত্রিকতা তাঁহাকে অত্যন্ত মুগ্ধ করিয়াছিল ; তিনি মনে করিতেন যে এই দেশ সূর্যরশ্মির সাতটি রঙের বিস্ফোরণ হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে  । পাদ্রিসাহেবকে প্রথমবার দেখিয়া আমি অবাক হইয়া গিয়াছিলাম, কেননা তৎপূর্বে এই প্রকার ধবলত্বক মানুষ আমি দেখি নাই । তাঁহার দেহ একটি শ্বেত বস্ত্রে ঢাকা, কেবল মুখ ও দুইটি হাত কনুই হইতে ঢাকা নহে। এইরূপ পোশাকও পূর্বে দেখি নাই । গীর্জার যাযক ফাদার হিলম্যান তাঁহার মুগ্ধতাকে জাগতিক রূপ দিবার নিমিত্ত  ফোটো তুলিতে ভালোবাসিতেন । সেসময়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ও হাই রেজোলিউশান ফোটোগ্রাফি আবিষ্কার হয় নাই। কাঁচকড়ার রোল ফিল্মে ফোটো তোলা হইত, এবং একটি ফিল্মে বারোটি অথবা ষোলোটি ফোটো তোলা যাইত । কাঁচকড়ার ফিল্মটি  অন্ধকার ঘরে রক্তবর্ণ আলো জ্বালাইয়া, রসায়নে চোবাইয়া প্রস্ফূটিত করা হইত, এবং ত...