তিনকড়ি হালদার : মলয় রায়চৌধুরীর ছোটোগল্প
তিনকড়ি হালদার : মলয় রায়চৌধুরীর গল্প তিনকড়ি হালদার, ডাক নাম তিনে, যে নামে মলয়ের জ্যাঠা-বাবা-কাকারা তাঁকে ডাকতেন, সাত ভাইয়ের সবচেয়ে ছোটো বোন কমলার স্বামী । ওন আর শরিকি অগ্রজরা, আর মলয়ের ঠাকুমা, ওনাকে তিনিুখোকা বা স্রেফ খোকা বলে ডাকতেন, ওনার আটষট্টি বছর বয়সেও, যখন উনি মারা যান, আর কমলাকে ডাকতেন খুকি বলে। পারফেক্ট খোকা-খুকি দম্পতি । তিনকড়ি হালদারের সঙ্গে কমলার বিয়ে হয়েছিল যে কারণটির জন্যে, তার নাম বংশগৌরব। শরিকি খেয়োখেয়িতে আহিরিটোলার বিশাল বাড়ি একঘর-দেড়ঘরে টুকরো-টুকরো হয়ে গিয়ে অনেকে হাঘরে পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে থাকলেও,কমলার বিয়ের সময়ে বংশগৌরব নামে গাঁজার ধোঁয়াটির মালিকানাটুকু তিনকড়ি পরিবারের ছিল। পাত্র হিসেবে তিনকড়ির ছিল বার্ড অ্যাণ্ড হিলজার্স কোম্পানিতে টেণ্ডার খোলার আধিকারিকের চাকরি, আর প্রখ্যাত সাঁতারুর সুপুরুষ চেহারা । গর্ব করে বলতেন যে, আহিরিটোলা ক্লাবের জিতেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় আর কলকাতা সুইমিং ক্লাবের এক সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্যামচাঁদ চালু করে ছিলেন ওয়...