Posts

Showing posts from 2021

শতকসন্ধির কবিতা : সম্পাদনা মলয় রায়চৌধুরী

Image
  বইয়ের নামকরণ সম্পর্কে কবি মলয় রায়চৌধুরী বলেন  – “ এই গ্রন্হের নামকরণটি আমার। যে তিন কবি এই বই-এর দুই মলাটে ছড়িয়ে আছেন : পরাগ আজিজ ,  সৌভিক দা ’  এবং সিপাহী রেজা। কবিতা লেখা শুরু করেছেন যথাক্রমে নব্বুই দশক ,  শূন্য দশক ও প্রথম দশকে। অর্থাৎ একটি শতকের সঙ্গে আরেকটি শতকের মিলনপৃষ্ঠে। সেই অর্থে সহস্রাব্দসন্ধির কবিতাও বলা যেতে পারে বইটিকে। এক হাজার বছর আগের কবিদের মতনই জনমানস থেকে বহু দূরে চলে যাবো এক হাজার বছর পরে ,  আমি এবং এই তিন কবি  ;  তাই শতকসন্ধিই থাক। ”  গ্রন্থটি সম্পাদনা করার বিষয়ে তিনি বলেন  – “ এই গ্রন্হটির সঙ্গে যুক্ত হবার আমার প্রধান আগ্রহভূমি এই যে ,  বইটি ঢাকার একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে। একুশে বইমেলার আসরে আমার কোনো বই আজ পর্যন্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। কেননা যে একটিমাত্র বই বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছে তা মীজানুর রহমান কতৃক প্রকাশিত আমার উপন্যাস  ' নামগন্ধ ' ;  যার স্বল্পসংখ্যক কপি পাঠকদের বিলোতেই ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই তিনজন তরুণ কবি যখন প্রস্তাব দিলেন যে তাঁদের প্রত্যেকের একগুচ্ছ কবিতার সঙ্গে আমি প্রচ্ছদ-ভাস্বরি...

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা সম্পর্কে রাজর্ষি দে

 নিজের পায়ে কুড়ুল মারার একটা বদভ্যাস আমার চিরকালের। আর তাই নিতান্ত গাড়লের মতন কথা দিয়ে বসেছি মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা নিয়ে একটা লেখা লিখব। মলয়্দাকেই কথা দিয়েছি আবার। সম্ভবত Notebook-এর প্রথম সংখ্যায়। কতটা অপরিণামদর্শী হলে এটা করা যায়? মানে যার কবিতা নিয়ে লিখতে বাঘা বাঘা পণ্ডিতদের শুকিয়ে যায় তাঁর কবিতা নিয়ে লিখবে আমার মতন এক অর্বাচীন “ফেসবুক কবি”। যাই হোক কথা যখন দিয়েছি লিখব তো বটেই, কিন্তু আপাতত তাঁর “যা লাগবে বলবেন” কাব্যগ্রন্থ পড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখব। মূল কাজে হাত দেওয়ার আগে হাতমকশো আর কি! মলয়্দার কবিতা প্রথম পড়ার এক বিপদ আছে। বিপদ হোলো তরতর করে পড়ে ফেলা যায় না, কেমন যেন দরজায় ঢুকতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। অথচ তাঁর কবিতা কিন্তু সম্পূর্ণ “কাব্যময়তা” রহিত। আসলে তাঁর কবিতার শব্দগুলো পরপর যৌক্তিক কাঠামো মেনে চলতে চায় না অনেকসময়েই। “নীল চামড়ার বাঁধানো আকাশ সেখানে ধিকিধিকি ধ্বংসস্তূপ/ আগুনের ব্যারিকেড ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল তিনতলা বাড়ি”- ঘটনার সহজাত সরলরৈখিক বিন্যাস ভেঙে গেছে। কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা শেষ হচ্ছে এভাবে- “কোনো কারণ নেই, স্রেফ/ চিৎকারের জন্যে চিৎকার/ চিৎকারের ভেতরে চিৎকার”...

Malay Roychoudhury, The Stud Bull of Bengali Poetry, drawn by Kausik Sarkar

Image
 

Malay Roychoudhury drawn by Mad Maximus of Dhaka

Image
 

সমীর সেনগুপ্ত

Image
 

অজিত রায়

Image
 

অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়

Image
 

অনুপম মুখোপাধ্যায়

Image
 

(18+) অবন্তিকার শতনাম | Moloy Roy Choudhury | Sreya Ray | AGRC

Image

দেবজ্যোতি রায়-এর 'নরকের থেকে একটুকরো অনির্বচনীয় মেঘ' আর নষ্ট আত্মার নোটবই' : মলয় রায়চৌধুরী

Image
  দেবজ্যোতি রায়-এর  ‘নরকের থেকে একটুকরো অনির্বচনীয় মেঘ’ আর ‘নষ্ট আত্মার নোটবই’ : মলয় রায়চৌধুরী মানুষ ক্রোধ, গ্লানি, দুঃখ, ভয়, স্পৃহা, বিষণ্ণতা, যন্ত্রণা, হতাশা, দুর্যোগ ইত্যাদিতে ছেয়ে থাকার  সময়ে যদি লেখালিখি বা ছবি আঁকাকে তা প্রকাশের মাধ্যম করেন তখন তিনি নিছক সাহিত্য-শিল্প করেন না, ফিকটিশাস ব্যাপার ছকতে পারেন না । তা এমন এক মানসিক রাসায়নিক বিক্রিয়া যা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উদ্ভূত, যেমন পিকাসোর ‘গোয়ের্নিকা’, অ্যালেন গিন্সবার্গের ‘হাউল’, লুই ফার্দিনাঁ সিলিনের ‘জার্নি টু দি এণ্ড অফ দি নাইট’ , মহাশ্বেতা দেবীর ‘হাজার চুরাশির মা’, সালমান রুশডির ‘দ্য সাটানিক ভারসেস’, হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ‘বাতাসে বারুদের গন্ধ’, সন্তোষ রাণার ‘রাজনীতির এক জীবন’, বিমল সিংহের ‘লংতরাই’, আরভিঙ হায়ওয়ের ‘ব্ল্যাক বয়েজ অ্যাণ্ড নেটিভ সানস’, রিচার্ড রাইটের ‘ব্ল্যাক বয়’ ইত্যাদি ।   সাহিত্য হয়তো সান্ত্বনা দিতে পারে, কিন্তু প্রতিটি পাঠক সান্ত্বনার জন্য পড়েন না । দেবজ্যোতির প্রথম বইটা, যদিও প্রকাশক বলেছেন উপন্যাস, তা কিন্তু নয়, ফিকশান নয়। এটিকে বলা যায় বিলডুংসরোমানের একটি...

মলয় রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজমুল হাসান পলক

Image

মলয় রায়চৌধুরীর ৮৩ জন্মদিন পালন করছেন সোনালী চক্রবর্তী,বহতা অংশুমালী মুখো...

Image

সোনালী মিত্র : মলয় রায়চৌধুরীর জন্মদিন

Image
  প্রিয় মানুষ, প্রিয় কবি, অজস্র সৌরবছর তোমার জন্মদিনের উৎসব আলোক বর্তিকা হয়ে ফুটে থাকুক প্রতিটি সাহিত্যমননে। প্রেম জেনো, শ্রদ্ধা জেনো,প্রণাম জেনো, ভালোবাসা জেনো। কিই বা দিতে পারি! বারবার উৎসর্গ হোক কলম তোমার পায়ের কাছে। ক্রমশ উর্দ্ধ সত্তরের প্রেমে ডুবে যাচ্ছে বসন্তবর্ষীয় আয়ু, সারসার দিয়ে রক্তকীট ...বাস্তুতন্ত্রের বিষাক্তফণা ধেয়ে গেল গঠনপক্ত মধ্যে তিরিশের দিকে ,তাদেরও হারিয়ে দিতে পারে বুকে লাটখেয়ে যাওয়া তোমার সাদা চুলের ঘোড়া। ছুটছে ,ছুটছে ছত্রপতি শিবাজি চত্বর পেরিয়ে মহানভারত দরজায় উড়িয়ে দিচ্ছে সবুজ পতাকার স্নেহ। পতাকার দন্ডে আত্মমৈথুনরত সাহিত্যচেতনা। থ্রিজি নেটওয়ার্কেও কেন গিলে নিতে পারছি না সমগ্র তুমিকে! পিচ্ছিলজাত পরমান্নে ফসকে যাওয়ার খেলা। উফ! আর পারছি না কেন!জ্বলে যাচ্ছে সৃষ্টিশীল তুরুপ? কেন ডুবে যাচ্ছি তোমার মধ্যে? তোমার থেকে তোমার আগুন জ্বলানো বীর্যক্ষয়ী শব্দের শরীরে? সেখানে আউসের শীষে সোনালী শিল্পের ক্ষণজন্ম তেমন ভাবে জরুরী কি? সেখানে আমাদের মত সহস্র তামাটে চামড়ার ছড়াছড়ি যারা চিচিং ফাঁক মেলে ধরে সিঁধিয়ে নিয়েছিল ছয় ফুট আট ইঞ্চির আত্মঘাতী ধাতব সমীকরণ ... দশেরার রাবণ মারতে মারতে...

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল : মলয় রায়চৌধুরীর রাজনৈতিক কবিতা

Image
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল : মলয় রায়চৌধুরীর রাজনৈতিক কবিতা মলয় দা, মলয় রায়চৌধুরী এক অদ্ভূত মানুষ। ৮২ বয়সেও ২৮ বছরের তরুণ কবিদের মতো তারুণ্য লালন করেন। আমি তাঁর এক সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে তার জবাবে আরো তা টের পেয়েছি। তাঁর সাথে আমার দেখা হয়। বাংলাদেশে কবিদের দৌঁড় কলিকাতা পর্যন্ত। আমার মতো সাধারণ কবির পক্ষে কি স্বর্গীয় দিল্লি যাওয়া তো কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আমার কবিতায় মলয় দা ঢুকে গেছেন, আবার মলয় দা আমাকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন, ফেইসবুক লাইভে আমার কবিতা পাঠ করেছেন। কি সব অদ্ভূত কাণ্ডই না করেন মলয় দা। গুণ দা'র মতো তাঁর পাগলামির শেষ নাই। শাশুড়িকে নিয়ে প্রেমের কবিতা লিখেন। প্রেমিকাকে বলনে- ‘মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো’। আমি বলেছিলাম, মাথা নাকি নুনু? তিনি যে জবাব দিয়েছিলেন, তাতেও টাশকি খেয়েছি। ‘১৯৬০-এর দশকের হাংরি আন্দোলন হাংরিয়ালিজম— তথা বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জনক ১৯৬০-এর দশক থেকেই ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে তিনি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। গতানুগতিক চিন্তাধারা সচেতনভাবে বর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে উত্তর আধুনিকতাবা...

বহতা অংশুমালী মুখোপাধ্যায় : মলয় রায়চৌধুরীর পৌরুষ

Image
বহতা অংশুমালী মুখোপাধ্যায় : মলয় রায়চৌধুরীর পৌরুষ ----------------------------------------- মলয় রায়চৌধুরীকে নিয়ে হঠাৎ লিখছি কেন? এইজন্যে নয় যে আমার বই বেরোচ্ছে, আর বইএর ব্লার্বে তিনি যাচ্ছেতাই রকমের ভালো লিখে দিয়েছেন। সে তিনি অমনিও লিখতেন। (কাজ আদায় হয়েই গিয়েছে ) আমায় স্নেহ করেন, ভালোবাসেন একটু। আমি তাঁর বেশ-বয়সের অবন্তিকাদের মধ্যে একজন। ডিট্যাচড, পড়ুয়া, চোখে চশমা আঁটা, উচ্চাশী অবন্তিকা। তিনি আমার পিতৃপ্রতিম। জাগতিকে তাঁকে তেমনই ভালোবাসি। আর অন্য এক জায়গায় তাঁকে ভালোবাসি, যেমন ক’রে তাঁর অসাধারণ উপন্যাস “ডিটেকটিভ নোংরা পরীর কঙ্কাল প্রেমিকে”, অনেক আগে মরে যাওয়া কঙ্কালকে, এক বৃদ্ধের কংকালকে, তার জীবনের কনসেপ্টকে ভালোবেসে ফেলেছিল ইন্সপেক্টর রিমা খান। কেন? সেই গণিতবিদ, উৎশৃংক্ষল কংকালের পৌরুষের জন্য। আমি এই অদ্ভুত আখ্যানটি লিখছি কারণ, কবে এই কিংবদন্তীস্বরূপ বৃদ্ধ ফট ক’রে মরে যাবেন। এখনো দেখা করিনি। ফোন করিনি। যদি মরে যান, একা ফ্ল্যাটে ছটফট করবো শোকে। সেই ভয়ে, এখন কিছু দিয়ে রাখা। টিকে যেতেও পারেন অনেকদিন আরো। ভীষণ জীবনীশক্তি। জীবনকে ভালোবেসে চুষে খাবার ইচ্ছে। মলয় রচৌকে দাদা বলার দূরভিলাষ হ...

ABANTIKA -- Recited by Mou Madhubanti

Image

Malay Roychoudhury's Dhaka publisher Asma Adhora

Image
 

Malay Roychoudhury's portrait drawn by Sambaran Das

Image