Posts

Showing posts from February, 2022

মলয় রায়চৌধুরীর ডিটেকটিভ উপন্যাস "অলৌকিক প্রেম ও নৃশংস হত্যা" আলোচনা করছে...

Image

কদমবুছি

Image
 

আমি একজন ডোম

Image
 

Malay Roychoudhury's poem SUFIYANA recited by Sanjhbati in Bengali

Image

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে মলয় রায়চৌধুরী পাঠ করছেন স্বরচিত কবিতা "আবা...

Image

মলয় রায়চৌধুরীর "মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো" কবিতা ও তাঁর মৃত্যু ভাবনা : অভিজিৎ পাল

Image
মলয় রায়চৌধুরীর “মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো” কবিতা ও তাঁর মৃত্যুবোধ অভিজিৎ পাল মলয় রায়চৌধুরী এবং তার আরম্ভ করা হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের গুরুত্ব নিয়ে বিতর্কের সমাপ্তি ঘটলেও, তাঁর চিন্তাধারা ও সাহিত্যিক সৃজনশীলতাকে কোনও একটি প্রকোষ্ঠে ফেলা বেশ কঠিন । তাঁর চিন্তা ও সাহিত্যকর্মের বিকাশ সম্পর্কে যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে বাঙালির উনিশ ও বিশ শতক ও ইউরোপের বিশ শতকের কবি ও ভাবুকদের যাত্রাপথে তাঁর পরিভ্রমণ অস্বীকার করা যায় না । প্রায় প্রতিটি ভাবনা ও সাহিত্য আন্দোলন তাঁকে আগ্রহান্বিত করেছে, তিনি বহু প্রবন্ধ লিখেছেন সেই সমস্ত বিষয়ে, কবিতা, উপন্যাস ও গল্পে সেগুলো প্রয়োগ করেছেন, যা সচরাচর বাঙালি সাহিত্যিকরা করেন না । তাঁর চিন্তাধারাকে যে নির্দিষ্টভাবে তাঁরই লিখিত ও পঠিত বর্গে সীমিত করা অসম্ভব তা তাঁর “মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো “ কবিতাটির মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে তুলেছেন । ইতোপূর্বে তিনি তাঁর বিখ্যাত কবিতা “প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার” কবিতায় যে মলয় রায়চৌধুরীকে উপস্হাপন করেছিলেন সে অভিমন্যুর মতন ঘেরাওকে প্রতিরোধ করে, এবং যা নিরবধিকালীন, নামহীন এবং মূলত অপর, সেই ব্যাপারে অবিরাম সাড়া দেয়। মলয় নি...

ঝুরোগল্প কাকে বলে ?

  ঝুরোগল্প ( JHUROGALPO  ) কাকে বলে মলয় রায়চৌধুরী প্রথমেই বলে নেয়া দরকার যে ‘ঝুরোগল্প’ নামের কনসেপ্ট এবং উৎপত্তি সম্পূর্ণরূপে বাঙালির । এর সঙ্গে ইউরোপ বা আমেরিকার গল্প-রচনার কোনও অবদান নেই । ঝুরোগল্প রচনার আঙ্গিক, কাঠামো ও ভাবনা ‘কালিমাটি’ পত্রিকার সম্পাদক গল্পকার-ঔপন্যাসিক কাজল সেন এবং অধুনান্তিক ভাবুক, কবি ও গল্পকার সমীর রায়চৌধুরীর।    গল্প এবং উপন্যাসের যে সংজ্ঞা ইউরোপ থেকে ঔপনিবেশিক আমলে আনা হয়েছিল, যাকে মানদণ্ডের মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন পাঠবস্তু গড়া আরম্ভ হয়েছিল, উত্তর-ঔপনিবেশিক কালখণ্ডে, তা থেকে এখনকার মেইনস্ট্রিম বাঙালি লেখকরা কিঞ্চিদধিক সরে গেলেও, মনে হয় তাঁদের মধ্যে একটি এখনও উদ্বেগ কাজ করে । উদ্বেগটি হল বিদ্যায়তনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অস্বীকৃতির। অবশ্য লিটল ম্যাগাজিনের গল্প ও উপন্যাস লেখকরা, যেহেতু অমন সমালোচকদের স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করেন না, আর তা আদায়ের প্রয়াস করেন না, তাঁরা ইউরোপের সংজ্ঞাকে পেছনে ফেলে নিজেদের মতন করে লেখার পৃথক-পৃথক ধারা তৈরি করে নিতে পেরেছেন এবং তাতে ‘হাংরি’, ‘শাস্ত্রবিরোধী’, ‘নিমসাহিত্য’ ইত্যাদি আন্দোলনের  গল্পকার-ঔপন্যাসিকদের অবদান হেলা...

কবিতাভাবনা

Image
 

শ্রীমতী ঘিলু : একটি আভাঁগার্দ গদ্য

             শ্রীমতিঘিলু, কথাটা তোকে নিয়েই, তাই শুরু করি, অ্যাঁ ?            ঘিলুতে ঘাপটি মেরে থাকে ভাবনা, নতুন নিমন চকচৌঁধ  ধারণা, আর ধারণা মানেই বিপদ, যেমন সৌর্ন্দয্য, জাস্ট ধারণা । কে ওসকায় নতুন নিমন ধারণা ঘিলুতে বুজকুড়ি কেটে ফেনাতে ? বাঞ্চোৎ পাগল না কি, মানুষেরা ? নিরাকার মানে কি ট্র্যান্সজেণ্ডার ? কিন্তু এই কলকাতা শহরটা নিজের নিজস্ব একটি দেশ, দেশের একটি দেশ, জাস্ট ধারণা, বিদেশে বসে মন কেমন করে, কলকাতা শহরের কোনো বিশেষ ব্যাপার নিয়ে, যেন সেটাই কলকাতা! কফিহাউস, গড়িয়াহাট, কষামাংস, ট্যাগোরগান, নাটোক, যাদবপুরের বিপ্লব, কত্তো ব্যাপার ! বাঞ্চোৎ পাগল নাকি, মানুষেরা ?          মানুষ পুরানোকে মেনে নেয়, আর তা  খবর  হয়; আর খুব, নতুন মেনে নেয়া এবং পুরানো এটাও ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, প্রতিটি গ্লাস জল তার নল থেকে আরেকটা কিডনি দিয়ে ছয়বার পাস করেছে আর মাংসের মাটি প্রতিটি স্ক্র্যাপকে টুকরো টুকরো করে পাথর করে ফেলেছে, লড়াই কর...

কোনো কোনো কবি কেন জনপ্রিয় ?

  কবি এবং কবিতার জনপ্রিয়তার পেছনে কি রহস্য আছে ? অনেক কবি আছেন যাঁদের কবিতা জনপ্রিয়তা পায়নি, এমনকি যাঁরা কবিতা লেখেন তাঁরাও সেই কবির কবিতার বইয়ের নাম বা কোনো কবিতার নাম বলতে পারবেন না। আবার এমন কিছু কবি আছেন যাঁদের কবিতা মানুষ পাঠ করে, টাকাকড়ি রোজগার করেন, গান হয়, মানুষের মুখে ফেরে। কেন ? এর পিছনে কী রহস্য লুকিয়ে থাকে বা আছে ?  এই ভাবনা সাম্প্রতিক, কেননা আমরা যখন হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করি, তখন ‘জনপ্রিয় কবি’ বলতে বোঝাতো ‘আলোচিত কবি’, যাঁর কবিতা নিয়ে কফিহাউসে বা পত্রিকা দপতরে আলোচনা হয় । তাঁরা কেউ কেউ ছিলেন ‘শিষ্ট’ পত্রিকার সম্পাদক, বিশেষত কবিতা পত্রিকার সম্পাদক । কিন্তু সব পত্রিকার সম্পাদকরা আলোচিত হতেন না । যেমন পূর্ব্বাশা পত্রিকার সম্পাদক সঞ্জয় ভট্টাচার্য । পূর্ব্বাশা পত্রিকা ১৯৩৯ থেকে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৩২ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত পূর্ব্বাশা-র সম্পাদনা করতেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য । কিংবা ধ্রুপদী পত্রিকার সম্পাদক সুশীল রায়। তাঁরা কবি হিসাবে তেমন আলোচিত ছিলেন না যেমন ‘কবিতা’ পত্রিকার সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু ।  আমার মনে হয়, সেসময়ে, আর পরেও, যে কবিরা অধ্যাপনা করত...