শুভঙ্কর দাশের অনুবাদ করা ড্যানিয়েলা কাপেলো’র প্রবন্ধ : “আমি যখন একটা অনুবাদের কাজ নিয়ে প্রথম কলকাতায় আসি ( আমার প্রথম ভারতে আসার অভিজ্ঞতা ) আমি এই শহরটা আর তার লোকজনদের প্রেমে পড়ে যাই, বাংলা শিখতে শুরু করি, নিজে নিজে চেষ্টা করে, কয়েকটা কোর্স আর আমার বাঙালি বন্ধুবান্ধবদের সাথে কথা বলতে বলতে । ওটাই ছিল আমার প্রাচ্যের সাথে পথ চলার সেই ম্যাজিকের শুরু । আর সে পথ মসৃণ ছিল না মোটেই । পরে আসবে হাংরিরা আর আমার মুখে মারবে এক ঘুষি, যাতে আমি টের পাই কলকাতার নিচুতলার নোংরা জীবনের স্বাদ । এটি ছিল ‘অদ্ভুত অন্য’-র দিকে তাকানোর একটি পুরোনো উপায়ের সমাপ্তি : একটি খাঁটি, স্হানীয় ভারতবর্ষের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল, যখন আমি সীমালঙ্ঘন, ভহুভাষিকতা, অস্পষ্টতা এবং দ্বন্দ্বের জগতে আমার দৃষ্টি ফিরিয়েছিলাম, যখন তা ধরা পড়ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পতনের পর ভারতের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে । “হাংরি জেনারেশন আন্দোলন সম্পর্কে প্রথমে যা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তা হলো দুটি ব্যাপার । প্রথমটি ছিল ১৯৬৪ সালে অশ্লীলতার জন্য তাদের শাস্তির জন্য কৌতূহল । এই কবিরা সেই মহাকাব্যের মধ্যবিত্ত পাঠকের কাছে কতটা উত্তেজক ...