চাইবাসা আবিষ্কার : মলয় রায়চৌধুরী
চাইবাসা আবিষ্কার : মলয় রায়চৌধুরীর উপন্যাস সকালবেলার তন্দ্রাচ্ছন্ন গোরস্তানে, কালো হোসপাইপ-লিঙ্গ ঝুলিয়ে-দুলিয়ে দৌড়োচ্ছিল গাধাটা । এখনকার পেণ্ডুলাম । যেন সময়ের কন্ঠস্বর । সুযোগ পেলে হড়হড় করে ঝরবে বিদ্রুপ । কান নাচিয়ে দৌড়।গাধাটার ডাকে এমন তীব্র স্বরাঘাত ছিল যে মনে হচ্ছিল পুরো সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা’র ভাঙা আয়নার টুকরো-টাকরা দিয়ে সাজানো । আতঙ্কের বিস্ফোরণে গাধাটা, যার অভ্যাস শুধু ধোপার ধাতানি খাওয়া, সমবেত লোকগুলোকে এড়িয়ে দৌড়চ্ছিল , ছায়ায় গলতে থাকা একটা আকৃতি, যার ফাঁপা ডাকের মোড়ক ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়েছে সূর্যের আলো, উত্তেজনার অবরোহণের আদল-আদরায় । গাধাটা নিজের ডাকে তাজা পরিষ্কার বাতাস দিয়ে ফুসফুস ধুয়ে ফেলছে মনে হয় । রাহু, রাহুল সিংহের মগজে, ওই দৃশ্য দেখে, আপনা থেকেই, অনিকেতের বন্ধু রূপক মজুমদারের একটা গান নিঃশব্দে বাজতে আরম্ভ করল, কে জানে কেন, চোখ মেরো না বেদানা চুল বেঁধো না তোমার ঐ হলুদ জানালায় তুমি ঝুলিয়ে রেখো না বেদানা ঝুলিয়ে রেখো না আমি যখন আব ঘরে তুমি নাইতে যেও না বেদানা নাইতে যেও না জাল-বসানো ঘন নীল ভ্যান থেকে নেমেই জন-পনেরো পুলিশ তাড়া করে ধরতে লাগলো ধুলোটেলাঠি...